মহান মে দিবসে - সমস্ত শহীদ শ্রমিকদের প্রতি জানাই সমবেদনা।
পদধ্বনি – অরিজিত রায়
সাথী তুই কি আজও অন্ধ?
নোনাঘাম ঝরে পড়ে কপাল চুইয়ে ;
রৌদ্রতপ্ত দুপুরে আলোর চাবুক চলে অহর্নিশ !
ওরা কারা যারা চাবুক চালায় ?
সবই তো ভাগ্যের পরিহাস….
এই কথা তো তোর মুখে মানায়না সাথী।
তুই জানিস সমাজের ক্ষমতা কাদের হাতে?
তো? - প্রশ্নের পাল্টা প্রশ্ন করে সাথী।
শ্রম চুরি করে যারা ওই ঠাণ্ডা ঘরে বসে আছে
একবারও কি মনে হয়না সাথী –
তাদের কাছে নিজের হক,
নিজের অধিকার দাবি করি।
কেন এই বৈষম্য থাকবে সমাজে?
আরামে জীবনযাপন করবে এক শ্রেণী,
তাদের সন্তান, পরিবার থাকবে আয়েশে;
আর সাথী তুই!
খুঁটে খেয়ে, কোনমতে সমাজের শিকড়টাকে আঁকড়ে
মাথা নিচু করে বেঁচে আছিস তুই।
রুখে কি দাঁড়াবি না তুই?
যাও বেঁচে আছি, খেতে পাচ্ছি;
রুখে দাঁড়ালে যে পথে বসতে হবে।
সন্তান, পরিবার যে না খেতে পেয়ে মারা যাবে।
বিষণ্ণ এক হাসি হেসে উত্তর দেয় সাথী।
বলে উঠি – জানিস আজ কি?
উত্তর আসে – আজ শুক্রবার;
দুঘণ্টা বেশি খাটলে পাব ২০ টা টাকা বেশি।
প্রত্যুত্তরে বলে উঠি – হ্যাঁ, আজ পয়লা মে;
চাবুকের নিচে রক্তঘামের মানুষদের রুখে দাঁড়ানোর দিন।
অধিকার আদায়ের দিন।
একটা আওয়াজ ভেসে আসছে দূর থেকে।
ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে আওয়াজটা - পদধবনি।
সাথী ওই দেখ - তুই, আমি একা নই!
শত সহস্রের একটা জনস্রোত এগিয়ে আসছে;
কারুর পরনে ছেড়া জামা, প্যান্ট বা লুঙ্গি;
কেউ বা খালি গায়ে।
হাতে তাদের কারুর কাস্তে, কারুর শাবল,
কারো বা হাতুড়ি, কারো বা কোদাল।
একটাই স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে আকাশ-বাতাস
“দুনিয়ার মজদুর এক হও।”
By: Arijit Roy

0 Comments